বিবিসি বাংলা দেখুন

সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১১

চট্টগ্রাম

দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত এ চট্টগ্রাম জেলা। নদী, সাগর ও পাহাড়ে ঘেরা এই অপরূপ সৌন্দর্যভরা চট্টগ্রাম জেলা । এই জেলায় দেশের বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর অবস্থিত। চট্টগ্রাম জেলার উত্তরে ফেনী জেলা ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য, দক্ষিণে কক্সবাজার জেলা, পূর্বে বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলা এবং পশ্চিমে নোয়াখালী জেলা ও বঙ্গোপসাগর অবস্থিত। চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী বলা হয়। এ জেলা বাংলাদেশের শিল্প বাণিজ্যে এক বিরাট ভূমিকা রাখছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামকে ১নং সেক্টরের অন্তর্ভূক্ত করা হয়। এই সেক্টরের দায়িত্বে ছিলেন মেজর রফিকুল ইসলাম। কালুরঘাটস্থ চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণাটি সর্বপ্রথম পাঠ করা হয়। এ ঘোষণার মাধ্যমে বেতারের কালুরঘাটস্থ সম্প্রচার কেন্দ্র ‘‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র’’ হিসেবে কাজ শুরু করে। স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠসহ যুদ্ধকালীন সময়ে এই বেতার কেন্দ্র বিভিন্ন অনুষ্ঠান প্রচার করে এতে মুক্তিযোদ্ধাদের মনবল অনেকগুনে বেড়ে যায় এবং স্বাধীনতার পরবর্তী সম্প্রচার কার্যক্রম চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রের মাধ্যমে সূচনা হয়।

আকাশপথে চট্টগ্রামঃ ঢাকা বিমান বন্দর হতে বাংলাদেশ বিমান, জি এম জি, ইউনাইটেড এয়ার সহ আরও অনেক অপারেটর ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে।

এক নজরে চট্টগ্রামঃ
আয়তনঃ ৫২৮৩বর্গ কিঃমিঃ।
সিটি কর্পোরেশনঃ ১টি(চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন)।
উপজেলাঃ ১৪টি।যথাঃ
মীরসরাই,
সীতাকুন্ড,
সন্দ্বীপ,
রাউজান,
রাঙ্গুনিয়া,
ফটিকছড়ি,
হাটহাজারী,
পটিয়া,
আনোয়ারা,
চন্দনাইশ,
বোয়ালখালী,
বাঁশখালী,
লোহাগাড়া ও
সাতকানিয়া।

থানাঃ ১৫টি।
মেট্টোপলিটন থানা ১২টি।
সংসদ আসনঃ ১৬টি।
পৌরসভাঃ ১০টি।
ইউনিয়নঃ ১৯৫টি।
গ্রামঃ ১৩২৯টি।
মৌজাঃ ১০৭৬টি।
লোকসংখ্যাঃ ৬৯,৪১,২৭৮জন(পুরুষ ৫৩%, মহিলা ৪৭%।
নদীঃ ৩টি(কর্ণফুলী, হালদা, সাঙ্গু)।
শিক্ষার হারঃ ৫৪%।
মাধ্যমিক সরকারী বিদ্যালয়ঃ ১৩টি।
স্কুল এন্ড কলেজ(স্কুল সেকশন): ২৯টি।
বেসরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ঃ ৬৩২টি।
বেসরকারী নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ঃ ৩২টি।
মোট কলেজঃ ১২৩টি।
মোট মাদ্রাসাঃ ৩২১টি।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ঃ ০২টি।
বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ঃ ০৪টি।
মেডিকেল কলেজঃ ০২টি।
আইন কলেজঃ ০১টি।
হাসপাতালঃ ১৫টি।
থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সঃ ১৪টি।
ভারী শিল্পঃ ৩২৮টি।
ক্ষুদ্র শিল্পঃ ৪৩২৩টি।
পাটকলঃ ০৮টি।
সরকারী বস্ত্রকলঃ ০৫টি।
সিমেন্ট ফ্যাক্টরীঃ ০৯টি।
গার্মেন্টসঃ ৬৪৭টি।
ইপিজেডঃ ০২টি।
বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রঃ ০১টি।

গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ প্রতিষ্ঠানসমূহঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বিটিভি (চট্টগ্রাম কেন্দ্র), বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমী, মেরিন একাডেমী, এমএ আজিজ স্টেডিয়াম, জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম, চট্টগ্রাম অফিসার্স ক্লাব, চট্টগ্রাম ক্লাব, ইত্যাদি।

দর্শনীয় স্থানঃ চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা, ফয়েজ লেকফয়েজ লেক uploaded by gm.parvez1 বান্দা ইখতিয়!র এর জেলা চট্টগ্রাম।চট্টগ্রাম জেলাকে জানুন।হিহি, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, হযরত শাহ আমানত (রঃ) ও হযরত বায়েজীদ বোস্তামী (রঃ) এর মাজার, নৃতাত্ত্বিক জাদুঘর, ওয়ার সিমেট্রি, বাটালী হিল, চন্দ্রনাথ পাহাড় (সীতাকুন্ড), বাঁশখালী ইকোপার্ক, পার্কি সী সৈকত (আনোয়ারা), ইত্যাদি।

জনপ্রিয় খেলাধূলাঃ
এ অঞ্চলে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা জব্বারের বলি খেলা। ক্রিকেট, ফুটবল, দাবা, হাডুডু ইত্ত্যাদি।
/
খেলাধূলার বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বঃ ক্রিকেটার মিনহাজুল আবেদীন নান্নু , আকরাম খান, নাফিজ ইকবাল, তামিম ইকবাল, আফতাব আহমেদ, শুটার আতিকুর রহমান।

পত্রপত্রিকাঃ
দৈনিক আজাদী।
দৈনিক পূর্বকোণ।
দৈনিক বীর চট্টগ্রাম মঞ্চ।
দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ।
দৈনিক কর্ণফুলী।
দৈনিক আজকের চট্টগ্রাম।
দৈনিক নয়াবাংলা।
The Daily Commercial Times।
সাপ্তাহিক সাহসিকা।
সাপ্তাহিক দ্বীপের কণ্ঠ।
The Weekly Chattala।

খনিজ সম্পদঃ ১৯৯৪ সালে আবিস্কৃত হয় জেলার একমাত্র গ্যাস ফিল্ড সাঙ্গু। ১৯৯৮ সাল থেকে এ গ্যাস ফিল্ড থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়।

শিল্প ও বাণিজ্যে চট্টগ্রামঃ আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের মূখ্যভাগ পরিচালিত হয় চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে।
শিল্পঃ স্টীল, সিমেন্ট, জাহাজ নির্মাণ শিল্প ,কাফকো, টিএসপি কমপ্লেক্স, ইস্ট্রার্ন রিফাইনারি, কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স, প্রগতি, ড্রাই ডক, সিইউএফএল, চট্টগ্রাম ড্রাই ডক, প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ , চিটাগং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিঃ , টিএস পি কমপ্লেক্স , কর্ণফুলি পেপার মিল , বিসিক , বিসিআইসি ইত্যাদি। এ জেলায় ২ টি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল রয়েছে(কর্ণফুলি ই পি জেড, সিই পি জেড)। একটি কোরিয়ান ইপিজেড অতি সম্প্রতি ভারী ও মাঝারি শিল্প স্থাপনের মাধ্যমে উৎপাদনে যাওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
উল্লেখযোগ্য শিল্প প্রতিষ্ঠানঃ জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প(সীতাকুন্ড), ইউনিলিভার, গ্লাক্সো, ইস্টার্ণ রিফাইনারী, কাফকো, সিইউএফএল, টিএইচপি কমপ্লেক্স, পাহাড়তলী রেলওয়ে ওয়ার্কশপ, যমুনা অয়েল, পিএইচ পি ফ্লোট গ্লাস, ইত্যাদি।

মন্ত্রীপরিষদে চট্টগ্রামবাসীঃ
মাননীয় মন্ত্রী ডাঃ মোঃ আফছারুল আমীন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মাননীয় মন্ত্রী, দিলীপ বড়ুয়া, শিল্প মন্ত্রণালয়।
মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ড. মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়।